সাপের বিষের কারবারী সঞ্জীবন চৌধুরীর আমন্ত্রণে বিশেষ এক রহস্য সমাধানে তাঁর বাড়িতে হাজির হয় পেশাদার গোয়েন্দা কিটি ও তার সহযোগী টিনা। সঞ্জীবনবাবুর বাড়িটাকে লোকে ডাকে 'সাপের বাসা'। তার বাড়িতে রাখা আছে নানা বিষধর সাপ। সাধারণ মানুষের চোখে সাপ মানেই হিংস্রতা, ক্রুরতা রহস্যময়তা। বিচিত্র প্রাণী এই সাপ। তবে সঞ্জীবনবাবুর বাড়ির অন্য মানুষগুলোও কম রহস্যময় নয়। সঞ্জীবনের অসুস্থ স্ত্রী রুবীদেবীর বীভৎসমুখ কীসের ইঙ্গিত বহন করে? আশ্রিতা বন্ধু পত্নী অজন্তা সারাদিন ঘরবন্দি থাকেন। তাঁর ছেলে অরিত্র মাদকাসক্ত। সাপুড়ে দশরথের স্ত্রী লাস্যময়ী মনসার চোখে খেলা করে কীসের আহ্বান? বৃদ্ধ কাশীনাথ চৌধুরী কি এই পোড়ো বাড়িতে সাপের মাথায় মণি খুঁজে ফেরেন নাকি অন্য কিছু? আর এক আছেন এক অদ্ভুত মানুষ 'নীলকান্ত পালিত'। লোকে তাকে ডাকে 'ব্যাঙবাবু' নামে। বিষ কি শুধু এ বাড়িতে সাপের ঘরে বন্দি শীতল রক্তের প্রাণীগুলোর মধ্যে? নাকি আরও অনেক তীব্র বিষ লুকিয়ে আছে এ বাড়িতে বসবাসকারী অন্য মানুষগুলোর মনে? সাপের বিষের থেকে অনেক বেশি তীব্র এ বিষের দহন জ্বালা। সেই বিষের সন্ধানে নামে পেশাদার গোয়েন্দা কিটি। তারপর?