কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাথ ধরে হাঁটছিলাম সেদিন। প্রেসিডেন্সির দেওয়ালটা শেষ করে সবে কলুটোলায় বাঁক নিয়েছি, এমন সময় চেনা দোকানি বললে, 'সত্যজিতের বই নেবেন নাকি? ফেলুদার?' 'আছে আমার কাছে,' বলে এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। দোকানি লোভ দেখাল। সব সই করা। সত্যজিতের। এবার চমকে গেলাম। লোকটা বলে কী? দড়ি দিয়ে বাঁধা গাঁটরি খুলতেই একের পর এক বাদশাহী আংটি, গ্যাংটকে গন্ডগোল, সোনার কেল্লা সমেত গোটা ফেলুদা সিরিজের ফার্স্ট এডিশন। ঝাঁ-চকচক করছে। একেবারে মিন্ট কন্ডিশন। প্রতিটাতেই প্রথম পাতায় জ্বলজ্বল করছে ইতি চেনা সেই সই। সত্যজিতের য-ফলাকে ইংরেজি এস অক্ষরের মতো স্টাইলাইজেশন। গাঁটরির ঠিক নীচেই এক কোনায় চোখে পড়ল খাতাটা। কাপড়ে বাঁধানো। অনেকটা এই ধরনের খাতা জি সি লাহা কিংবা অক্সফোর্ড বিক্রি করত এককালে। পাশে সোনার জলে 'নোটস' লেখা। ডায়েরি লিখতে ব্যবহার করতেন অনেকে...