গান্ধারী-কুন্তী-মাদ্রী - এই তিন বধূর ভাগ্যবিড়ম্বিত জীবন কাহিনী নিয়ে লেখেন 'ক্ষত্রবধূ'। 'গান্ধারী' ভাগ্যের হাতে প্রতারিত হয়ে চরম অভিমানে কাটিয়েছেন এক ছদ্মজীবন। স্বামী ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর কোন মনের মিল ছিল না। সন্তান বলে যাদের মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে কোনোদিন পান নি তাঁর প্রাপ্য সম্মান। তাই স্নেহ-মমতা-ভালবাসার পরিবর্তে তাঁর কাছে বড় হয়ে উঠেছিল ধর্ম-লোকাচার-স্বর্গপ্রাপ্তি। 'কুন্তী'-ও 'গান্ধারী'র মতই স্বামী-সাহচর্য বঞ্চিতা এক নারী। তাঁর জীবন ছিল আরও জটিল। স্বামী পাণ্ডুর ইচ্ছা ও আকাঙ্খায় একের পর এক ক্ষেত্রজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। রাজনন্দিনী এবং রাজবধূ হয়েও সারাজীবন কাটিয়েছেন রাজপ্রসাদের বাইরে। এঁদের দুজনের তুলনায় 'মাদ্রী'র জীবনকাল খুব সংক্ষিপ্ত। জীবনের জটিলতা ও সংগ্রাম তাঁকে বেশী দিন সহ্য করতে হয়নি। এঁরা তিন জনেই বিশেষ গুণসম্পন্ন হলেও জানতেন না রাজনীতি। কিন্তু বিবাহের পর সেই রাজনীতির আবর্তে পড়ে কীভাবে তাঁদের জীবন পাল্টে গেলো জানতে হলে শুনুন 'ক্ষত্রবধূ' ।