একটা বাড়ি তো শুধু ইট পাটকেল চুন সুরকি দিয়েই তৈরী হয়না, বাড়িরও মন থাকে, কত দুপুরের মায়ারোদ সেই বাড়ির বারান্দায় মেখে থাকে, কত জ্যোৎস্না তার সব রং উপুড় করে দেয় বাড়িটার ওপর, কত হাওয়া দুলে দুলে বয়ে যায় বাড়ি ছুঁয়ে , শুধুই কি বাড়ি, এই সব মায়া কি লেগে থাকেনা বাড়ির মানুষগুলোর মধ্যেও? থাকে বই কি , অবশ্যই থাকে, রামধন মিত্তির লেনের দুটো পুরোনো দত্ত বাড়ি । প্রাণশঙ্কর দত্ত আর ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের। ভূপেন দত্তর নাতিরা বোবা সাতপুরুষের বাস্তুভিটে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে, প্রাণশঙ্কর দত্ত বাড়ির বৌ সরমা বড়ো মুখ করে বলতেন এমন অমঙ্গল তিনি এই দত্তবাড়িতে হতে দেবেন না, কিন্তু প্রোমোটার কুন্দলিয়ার প্রবল লোভনীয় প্রস্তাবে এ বাড়ির ছেলেরা স্তব্ধ হয়ে যায়, সরমা বোঝেনা এই পাঁচ পুরুষের বসতবাড়ি কেন তারা ভাঙতে চাইছে, বার বার তার পুরোনো দিনের কথা মনে পরে যায়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্য চরিত্ররাও একে একে এসে উপস্থিত হয় এই রামধন মিত্তির লেনের দত্তবাড়িতে। দেবশঙ্কর, সুমন, বরুনা, পদ্ম, সুব্রতা, রাধামাধব, জারিনা, জিয়া, সোমশংকর, প্রভাবতী আর বংশের ষষ্ঠ প্রজন্ম চাঁদবিবি। শেষ অবধি দত্তবাড়ির কি হয়?
Ilukirjandus ja kirjandus