নিজের কাছেই মা কে রাখবে ভেবেছিলো তিতলি। কিন্তু হলোনা, মা চলে গেলেন সব কুটুম্বিতা কে সরিয়ে রেখে, রেখে গেলেন দুই মেয়ে আর এক ছেলে কে। মায়ের শেষ কাজে যোগ দিতে তিতলি ফিরে আসে আমেরিকা থেকে, অনাবাসী জীবনে অভ্যস্ত হয়েও মায়ের অবশিষ্ট আঁচলের গন্ধ আজও তিতলির নাকে লেগে আছে, মাকে সে ভুলতে পারেনা,ভুলতে পারার কোনো কারনও নেই, যতদিন মেয়েদের বিয়ে হয়নি তিতলি কখনো মাকে খাটে শুতে দেখেনি,তাই শেষ বয়সে মাকে ভালো রাখবার চেষ্টা করেছিল সে, কলকাতায় ফিরে এসে পুরোনো বন্ধু বান্ধবদের সাথে দেখা হয় কথা হয়, দেখা হয় দাদা বৌদিদের সাথে, বাবার পুরোনো একটা খাতা পেয়ে সেখান থেকে এক অন্য বাবা মা কে খুঁজে পায় তিতলি, পুরোনো প্রেমিক অর্জুনের সাথেও দেখা হয়, এক অনাবাসী মেয়ে তিতলি নিজের এবং পরিজনদের কি ভাবে চিনতে চিনতে জীবন কে খুঁজে পায় জানতে এক্ষুনি শুনুন নবনীতা দেবসেন এর রচিত 'তিতলি' তমালী চৌধুরী এর কণ্ঠে.